ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ২০১০ বাংলা প্রশ্ন ও সমাধান

এই পোস্টে তোমরা ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ২০১০ বাংলা এর প্রশ্ন ও সমাধান দেখতে পাবে। চলো শুরু করা যাক।

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা ২০১০ বাংলা প্রশ্ন ও সমাধান

বাংলা 


১। মাদার তেরেসা কলকাতার কালীঘাটে কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন?
ক) শিশু ভবন 
খ) প্রেমনিবাস
গ) নির্মল হৃদয় 
ঘ) নবজীবন আবাস 
২। ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বাক্যটি কোন কালের?
ক) পুরাঘটিত বর্তমান
খ) সাধারণ বর্তমান 
গ) নিত্যবৃত্ত বর্তমান 
ঘ) পুরাঘটিত অতীত 
৩। নিচের কোনটি ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের উদাহরণ?
ক) এবং
খ) নতুবা
গ) ছি ছি 
ঘ) শন শন
৪। কোন বানানটি সঠিক?
ক) শ্রদ্ধাঞ্জলী 
খ) পূর্বত্ন 
গ) অন্তর্বৃত্ত 
ঘ) বুদ্ধিজীবি 
৫। নিচের কোন গ্রন্থটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত?
ক) পিলে পটকা 
খ) এক পয়সার বাঁশি
গ) পুতুলের মিউজিয়াম
ঘ) ইতল বিতল 
৬। সাধুভাষার বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক) গুরগম্ভির  
খ) কৃত্রিম 
গ) অবাধ্য
ঘ) দুর্বোধ্য 
৭। ব্যাকরণের মূল ভিত্তি কী?
ক) ধ্বনি
খ) ভাষা
গ) শব্দ
ঘ) বাক্য
৮। যৌগিক শব্দ কোনটি?
ক) দৌহিত্র  
খ) প্রবীণ 
গ) তৈল
ঘ) জলধি 
৯। ‘অজমূ' শব্দের 'অজ' কোন ধরনের উপসর্গ?
ক) বাংলা
খ) সংস্কৃত
গ) দেশি
ঘ) বিদেশি
১০। কোনটি সংযােগজ্ঞাপক সর্বনাম?
ক) এরা
খ) যারা 
গ) অন্য
ঘ) ওরা
১১। ক্রমবাচক শব্দ কোনটি?
ক) ষোড়শ 
খ) পনেরই 
গ) উনিশ 
ঘ) পহেলা 
১২। 'আপন-ভালো সবাই চায়'- বাক্যটিতে 'ভালো কোন পদ?
ক) বিশেষণ
খ) বিশেষ্য 
গ) সর্বনাম
ঘ) অব্যয়
১৩। 'পাপে বিরত হও'- নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকের উদাহরণ?
ক) কর্ম 
খ) করণ
গ) সম্প্রদান 
ঘ) অপাদান
১৪। নিচের কোনটি 'পানি'র প্রতিশব্দ?
ক) নির
খ) নীড়
 গ) নিন
ঘ) নীর
১৫। প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দে বহু বচনে ব্যবহৃত হয় কোনটি?
ক) কুল 
খ) গণ
গ) বৃন্দ  
ঘ) বর্গ 
১৬। 'অতঃপর'- এর সঠিক উচ্চারণ কোনটি?
ক) অতপর 
খ) অতপর
গ) অতঃপর 
ঘ) অতােপর
১৭। উকিল কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?
ক) আরবি 
খ) ফারসি
গ) উর্দু 
ঘ) তুর্কি

শূন্যস্থান পূরণ কর:---
১৮। 'সম্রাট' -এর স্ত্রীবাচক শব্দ ------
১৯। আশ্চর্য-এর সন্ধি বিচ্ছেদ ------
২০। 'তাসের ঘর' বাগধারাটির অর্থ -------
২১। পিত্রালয়'-এর সন্ধি বিচ্ছেদ ------
২২। শাড়ি এর পুরুষবাচক শব্দ ------
২৩। পূর্বে' শব্দের চলিত রূপ -------
২৪। দীর্ঘ'-এর বিশেষ্য রূপ ------
২৫। পৌনে তিন-এর সংখ্যাবাচক রূপ -----
২৬। সঞ্চয়' এর বিপরীত শব্দ ----
২৭। 'ভীরু' এর বিপরীত শব্দ ------
২৮। "ধন্য মাগাে জন্মেছি এই দেশে" বাক্যটি অনু্র্ধ্ব দশ বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
২৯। 'রিকশা' সম্পর্কে দশ বাক্যের একটি অনুচ্ছেদ লেখ।

উত্তরপত্র

১। গ ২। ক ৩ । গ ৪। খ ৫। ক ৬। ক ৭। ৭ ৮ । ক ৯। ক ১০। খ ১১। ক ১২। খ ১৩। ঘ ১৪। ঘ ১৫। ক ১৬। গ ১৭। ক ১৮। সম্রাজ্ঞী ১৯ । আ + চর্য ২০ | ক্ষণস্থায়ী ২১। পিতৃ + আলয় ২২। শুক ২৩। আগেই ২৪। দৈর্ঘ্য ২৫। ২ সমস্ত ৪ এর ২ ২৬। খরচ ২৭। সাহসী

২৮। "ধন্য মাগাে জন্মেছি এই দেশে"

মানুষ পৃথিবীর যে ভূখণ্ডে জন্ম নেয় তাই তার স্বদেশ। এই স্বদেশের সঙ্গে গড়ে ওঠে তার আত্মার সম্পর্ক অনেক সময় পিতা-মাতার নাগরিকতার উপর ভিত্তি করে ভিনদেশে জন্মালেও সে তার পিতা-মাতার দেশের নাগরিকত্ব লাভ করে। সেটা ভিন্ন কথা। 
কিন্তু জন্মভূমির জন্য প্রত্যেক মানুষের মনেই জন্ম নেয় নিবিড় ভালবাসা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য মানুষ হয়তাে এমন কোন ভূখণ্ডে জন্ম নেয় যে ভূখণ্ড হয়তাে পরাধীন ভূখণ্ড অথবা নেই স্বাধীনতা অর্জনের কোন গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অথবা এমন দেশ যেটি শুধু মরুভূমি অথবা ঠাণ্ডা শীতল বরফে ঢাকা। 
হতে পারে সেটি এমন দেশ যেথা নেই কোন শ্যামলিমা, নদীর কলতান, ফুল পাখি আর পাহাড়ের প্রাচুর্য । হয়তাে বা অধিক গরম নয়তাে কনকনে ঠাণ্ডা। অথচ আমাদের এই বাংলাদেশ সবুজ শ্যামল প্রাকৃতিক বৈচিত্রে ভরপুর । এখানে জালের মত বিস্তৃত নদী আছে, আছে সমুন্নত পাহাড় আর সাগরের উত্তাল গর্জন। ফুল পাখি আর ফলের প্রাচুর্যতাে আছেই সেই সাথে ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে এখানকার আবহাওয়া ও নাতিশীতােষ্ণ। 
এর যেমন আছে সােনালী ইতিহাস, তেমনি আছে স্বাধীনতা অর্জন ও পাবার জন্য অবদানের রক্তাক্ত অধ্যায়। জাতির জন্য আত্মদান, ভাষার মাধুর্য, কবির কবিতা, শিল্পীর গান সব মিলিয়ে এই দেশ রূপে গুণে সমৃদ্ধ এক দেশ। এদেশের উর্বর পলি মাটিতে সােনার ফসল ফলে, নদী নালা হাওর বিলে
আছে নানান জাতের মাছ। ষড় ঋতুর কাল প্রবাহে নানা স্বাদের মৌসুমি ফলের আবির্ভাব ঘটে একে একে এদেশের বেশিরভাগ লোক মুসলিম অথচ সংখ্যালঘুদের সাথে নেই কোন সংঘাত বরং আছে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্ভার। সব মিলিয়ে এত শান্তির দেশ পৃথিবীর আর কোথাও নেই, তাই এদেশে জন্মগ্রহণ করা অনেক বড় এক প্রাপ্তি অনেক বড় গৌরবের। তাইতাে কবির কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে “জন্ম আমার ধন্য হলো মাগাে” এই ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়। ধনধান্যে পুষ্পে ভরা বসুন্ধরায় জন্ম নিতে পেরে বাংলাদেশি হিসেবে আমরা গর্ব বােধ করে থাকি। 

২৯। রিকশা 

রিকশা নামক ত্রি-চক্র যানটি আমাদের বাংলাদেশে একটি সুপরিচিত যানবাহন। শহরে পিচঢালা রাস্তা হতে গ্রামের মেঠো পথ সর্বত্র এর সদর্প বিচরণ । রিকশা শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে। বিজ্ঞানের এ অগ্রযাত্রার যুগে যখন গতির জোয়ারে ভাসছে বিশ্ব তখনও প্রয়ােজনের তাগিদে শ-থ গতির ইঞ্জিনবিহীন এ বাহনটি আজো যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে আছে। মনুষ্য চালিত এ যানটির তিনটি চাকা। এতে প্যাডেল ও চেইনের সাহায্যে পেছনের দুটি চাকা সংযুক্ত আছে । পেছনের দুই চাকা সংযুক্তকরণ লৌহ দণ্ডের মাঝখানে একটি বিয়ারিং বসানাে আছে। প্যাডেল দুটিকে দুপায়ের সাহায্যে ঘােরালে সংযুক্ত চেইনটি ঘুরতে থাকে যার ক্রিয়ায় পেছনের চাকা ঘুরতে শুরু করে এবং রিকশা সামনে এগিয়ে চলে। এছাড়া সামনের চাকার সাথে সংযুক্ত হ্যান্ডেলে ব্রেক, এবং বেল আছে। যার মাধ্যমে রিকশার দিক ও গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সামনে আছে চালকের জন্য বসার আসন এবং পেছনে দুজন যাত্রী বসার জন্য আসনের ব্যবস্থা। রিকশা ভ্রমণ অত্যন্ত আনন্দদায়ক। একই রাস্তায় দ্রুত যান ও ধীরগতির রিকশার চলাচল করায় শহরের রাস্তাগুলােতে যানজটের অন্যতম কারণ। তাই রিকশা চলাচল এলাকা নিয়ন্ত্রিত হওয়া দরকার। বর্তমানে Easy Bike নামক ব্যাটারিচালিত মােটামুটি গতি সম্পন্ন একটি বাহন রিকশার বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ধীরে ধীরে রিকশার ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে এমন দিন হয়তাে আসবে যখন কষ্টসাধ্য ও স্বল্প আয়ের এ বাহন পুরােপুরি উঠে যাবে। তখন জাদুঘর এ রিকশা কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ